ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়েও ঘাটে-ঘাটে টাকার বিনিময়ে মাতামুহুরী নদী পথে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাঁশ পাচার হচ্ছে

lamaচকরিয়া প্রতিনিধি ::
বাঁশের বংশ বিস্তারের জন্য সরকারীভাবে প্রতিবছর জুন, জুলাই ও আগষ্ট তিন মাস বাঁশকাটা, পরিবহন ও বাজারজাত করণ আইনত নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও লামা বন বিভাগের সংরক্ষিত ও অশ্রেণীভূক্ত বনাঞ্চল থেকে অবৈধ ভাবে বাঁশ কেটে মাতামুহুরী নদী পথে প্রতি সাপ্তাহে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাতামুহুরী রিজার্ভ ও তৈন রেঞ্জ এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে বাঁশ আহরণ করে মাতামুহুরী নদী পথে গত জুন, জুলাই ও চলতি আগষ্ট এ তিন মাসে প্রায় ৫লাখ বাঁশ পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ লামা বন বিভাগ নৌ-পথে বনজ দ্রব্য পাচার প্রতিরোধে মাতামুহুরী রেঞ্জের বাবুপাড়াঘাট, আলী কদম বাজার সংলগ্ন ঘাট, তৈন রেঞ্জের রেফার ফাড়ি বাজার ঘাট, লামা সদর রেঞ্জের লামার মূখ চেক পোষ্ট ও লামা বাজার চেক পোষ্ট থাকলেও অসাধূ ব্যবসায়ীরা বনকর্মীূদেরকে ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে বাঁশ পাচার করছে। আলীকদমের বাবু পাড়া, ধুমচির মুখ, তুলাতলী ও ভূজির মুখ এলাকায় আহরণ কৃত বাঁশ মজুদ করে রেখেছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে এ বিপুল পরিমাণ বাঁশ কাটা হলেও সরকার এসব বাঁশ থেকে কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। অবৈধ বাঁশ পাচারের সুযোগ করে দিয়ে ওই সব চেক পোষ্টে কর্মরত দূর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তা- কর্মচারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে লামারমূখ চেক পোষ্টের ক্যাশিয়ার পরিচয় দানকারী সাবেক একজন বন প্রহরী শামসুল আলম জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে বাঁশ পাচারে সহায়তা করে আয়কৃত টাকা আমরা একা ভোগ করিনা। আয়ের একটি অংশ গ্রেড অনুযায়ী রেঞ্জার থেকে শুরু করে লামা বিভাগীয় বনকর্মকর্তা, চট্রগ্রামের সিএফ ও ঢাকার সিসিএফ পর্যন্ত গ্রেড অনুযায়ী ভাগ পৌছে দিতে হয়। তাই আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ ছাপিয়ে কোন লাভ হবে না। এ পর্যন্ত চার/পাঁচ বার লামারমূখ ও বাজারঘাট চেক পোষ্টের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেছি এবং চাকুরী শেষেও একই দায়িত্ব পালন করে আসছি। লাইন ঘাট ঠিক রেখেই এখানে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব নিয়েছি । তাই কারো সাধ্য নেই আমাকে এ চেক পোষ্ট থেকে সরানোর।

পাঠকের মতামত: